বিদেশ ডেস্ক ॥ চীনের উইঘুর মুসলিমদের ওপর চালানো দমন-পীড়নের প্রতিবাদে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি। জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে এ সম্মেলন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে চীন। রয়টার্স জানায়, জাতিসংঘের চীনা প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে বলেছে, ‘এটি রাজনৈতিক বেঠক। তাই চীন বিরোধী এই সম্মেলনে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে অংশ না নেওয়ার অনুরোধ রইল।’ চীন অভিযোগ করেছে যে, এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ আরও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ জিনজিয়াংয়ের মতো চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। তারা মানবাধিকারের কথা বললেও মূলত একে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এর দ্বারা তারা চীনের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক করতে চায়। এসবের মাধ্যমে তারা চীনের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, উস্কানিমূলক এসব ঘটনা কেবল সংঘাত বাড়াবে। কিন্তু এ বিষয়ে জাতিসংঘে চীনের মিশন কোনো মন্তব্য করেনি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ব্রিটেনের প্রতিনিধিরা বুধবার জাতিসংঘে একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনে বসবেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত থাকবেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কেন রুথ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অজনেস ক্যালামার্ড। এ বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো, জিনজিয়াংয়ের সংখ্যালঘু তুর্কি সম্প্রদায়ের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘ, এর সদস্য দেশগুলো এবং সুশীল সমাজ কীভাবে তাদের সহায়তা করতে পারে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের বন্দিশিবিরগুলোয় লাখ লাখ উইঘুর মুসলিমকে আটকে রেখেছে শি জিনপিং প্রশাসন। সেখানে বন্দীদের ওপর নির্যাতন, জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে কাজ করানোসহ যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বিভিন্ন সময় প্রকাশ পেয়েছে। চীন এগুলোকে ‘সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে পরিচালিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে দাবি করে থাকে। শুক্রবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জাতিসংঘের পরিচালক লুই চার্বোনউ বলেছেন, বেইজিং গত কয়েক বছর ধরে এ বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করছে তবে সেই কৌশলটি ব্যর্থ হয়েছে। উইঘুর ও অন্যান্য তুর্কি মুসলমানদের বিরুদ্ধে চীন অপরাধের ভয়াবহতা প্রকাশ পাচ্ছে।
Leave a Reply